বাকের সরকার বাবর।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের পানিয়ারুপ গ্রামের রাস্তায় গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মটর সাইকেল ঢুকে গেল মাছের পানি ভর্তি একটি ট্রাক্টরের নিচে। এতে ঘটনাস্থলেই ভারতীয় এক নাগরিকসহ তিনজন মারা গেছেন । আহত হয়েছেন একজন। তাকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ পিকআপ ভ্যানটি আটক করেছেন।

নিহতরা হলেন, কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের মাইজখার রামপুর গ্রামের রবিউল মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন (২৩), উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল সাতপাড়া গ্রামের বোরহান মিয়ার ছেলে পায়েল মিয়া (২১) এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মিয়াপাড়া গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে আমজাদ হোসেন (২৫)। আহত মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল গ্রামের সহিদ মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া (২১)। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলার পানিয়ারুপ- মাইজখার সড়ক দিয়ে মাইজখার যাওয়ার রাস্তায় পানিয়ারুপ নামক স্থানে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চালকসহ চারজন একটি মটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মাছের পানি ভর্তি একটি ট্রাক্টরের নিচে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই চার মোটর সাইকেল আরোহীর মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা লাশ নিয়ে গেছেন।

গুরুতর আহত হাসান মিয়াকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এ দিকে পুলিশ মাছের পানি ভর্তি পিকআপ ভ্যানটি আটক
করলেও চালক পালিয়ে গেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা ধারণা করছেন কসবার ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে মাদক পাচার করছিলেন। নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী। তারা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় চারজন মিলে একটি মটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া বলেন, রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে চালকসহ চারজন একটি মটর সাইকেল দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মাছের পানি ভর্তি একপি পিকআপ ভ্যানের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই চার মোটর সাইকেল আরোহীর মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন একজন। রাতেই লাশ সড়িয়ে নিয়েছে নিহতের স্বজনরা। এ ঘটনায় থানায়
মামলার প্রস্তুতি চলছে।